বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিচার হবেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বুধবার দুপুরে সাহেদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার কারণে ইতালিতে আজকে করোনার জন্য বাংলাদেশিদের দোষারোপ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে সাহেদ জঘন্য অপরাধ করেছে। তার বিচার তো হবেই।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সাহেদের সঙ্গে অনেকেরই যোগাযোগ ছিল। না হলে এত বড় চেইন সে কীভাবে মেইনটেইন করেছে। আমার সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। সেটা আমি ইতোমধ্যে বলেছি। আমিও তার হাসপাতালে ৫-৬ জন রোগী পাঠিয়েছিলাম।’
‘যেহেতু সে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছিল। সরকার স্বীকৃত ছিল। তারপরও তাকে ছাড়া হয়নি। আমরা বলেছি, অন্যায় করলে কাউকে ছাড়া হবে না। তাকে ধরা হয়েছে। আমরা এখন আমাদের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করব। বিচার করবেন আদালত,’ যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলছি যে তদন্ত সাপেক্ষে সাহেদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। সে কী করেছে, না করেছে সেগুলো তো আমরা জানি। তারপরও তো একটা অফিসিয়াল তদন্ত হয়। মামলা হয়েছে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হবে আদালতে।’
এর আগে বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর সেখান থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরে রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দর থেকে তাকে উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।
করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে গত ৮ জুলাই মামলা করে র্যাব। উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।
এর আগে গত ৬ জুলাই সোমবার র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রিজেন্ট হাসপাতালের দুটো শাখায় (উত্তরা ও মিরপুর) অভিযান চালায়। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে শাখা দুটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৭ জুলাই বিকেলে উত্তরায় রিজেন্টের প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র্যাব।