বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার আহ্বান কাদেরের

সরকারি ও এমপিওভুক্ত ছাড়া বিশাল একটি অংশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মহামারি করোনাভাইরাসের এই সংকটে তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আজ রোববার তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিং সেতুমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে বিভিন্ন স্তরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। সরকারি ও এমপিওভুক্ত ছাড়া বিশাল একটি অংশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এ সংকটকালে তাদের বেতন ভাতা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপি নেতারা বৈশ্বিক করোনাভাইরাস সংকটে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে দেশবিরোধী অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে লিপ্ত বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ইতালি প্রবাসী বিএনপির এক নেতার দেশবিরোধী অসত্য বক্তব্য প্রবাসীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশে নাকি ১০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত।’

দেশে কোনো চিকিৎসা নাই, ১০ হাজার মানুষ ইতালির পথে রয়েছে- এমন মিথ্যাচার বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ইতালি যাচ্ছে তাদের কাছে নাকি ভুয়া রিপোর্ট রয়েছে? বিএনপি নেতাদের এ ধরনের আজগুবি মিথ্যা বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে ছোট করছে।’

‘লক্ষ লক্ষ প্রবাসীদের অস্থিরতায় ফেলে দেওয়া এমন অসত্য তথ্য দেওয়া বিএনপি নেতার বক্তব্যে ইতালির প্রবাসীসহ পুরো জাতি ক্ষুব্ধ। বিএনপি দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী তা আবারও প্রমাণ হলো’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘মিথ্যাচারের ঢোলক বাজিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করাই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি দেশের বিরোধীতায় নেমেছে, মিথ্যাচার করছে। এসব কারণেই বিএনপি দিন দিন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে যেতে চাইলে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকার নির্ধারিত ১৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে করোনার সনদ গ্রহণ করতে হবে।

এ সময় দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ যেমন কমছে এবং আস্থাও কিছুটা কমছে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তবে নমুনা সংগ্রহের পর যাতে রেজাল্ট দিতে দীর্ঘ সময় না লাগে সেদিকে ল্যাবগুলোকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তা না হলে রোগীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হতে পারে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘অসহায় দরিদ্র মানুষ ফি দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয় বলে নমুনা পরীক্ষা করছে না। করোনার অভিঘাতে অনেক মানুষ এখন কর্মহীন।’ তাই তাদের আর্থিক সক্ষমতার কথা বিবেচনা করে ফি ছাড়া পরীক্ষার সুযোগ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান ওবায়দুল কাদের।