স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সফিউল বারী বাবুর দ্বিতীয় জানাজা শেষে লক্ষ্মীপুর জেলার রামদয়ালের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লক্ষ্মীপুরে রামগতির আবদুল হাদি কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ মাগরিব বাদ মাগরিব পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেছাসেবক দল, কৃষকদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বাদ যায়নি সর্বস্তরের মানুষও। এসময় পুরো মাঠজুড়ে এক হৃদয় বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন নেতাকর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে জানাজায় অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও বিএনপির মহাসচিবসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অঝোরে কাঁদেন। এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিল না। সে ছিল বিএনপির প্রাণ। দলের অসংখ্য নেতাকর্মী তার হাতে তৈরি হয়েছে।
বিএনপিতে এমন বুদ্ধিমান, ত্যাগী নেতা খুব কমই আছে। বাবু চলে যাওয়ায় আমরা একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম।’
এরআগে মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুর মৃত্যু হয়। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শফিউল বারী। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারটার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।