বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একাত্তরের রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যুর সহজেই সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত। শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় দুই দেশের পারস্পরিক আস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রজয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে, তা সম্পর্কের সূত্রকে করেছে আরও সুদৃঢ়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধ তৈরি হয়েছে, তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দিয়েই গড়ে তুলতে হবে এ দেশের সমৃদ্ধির সোপান। সনাতন ধর্মের অনুসারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নাগরিক হিসেবে একজন মুসলমানের রাষ্ট্রের প্রতি যে অধিকার আছে, আপনাদেরও সমান অধিকার আছে। নিজেদের মাইনরিটি ভাববেন না। তা না হলে আপনারা মানসিকভাবে পিছিয়ে থাকবেন।’
মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে একটি অশুভ চক্র ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এ দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্যে আঘাত হানার অপচেষ্টা করে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার যত দিন আছে, আপনাদের কোনো ভয় নাই।’
মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, ‘২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কী অমানুষিক নির্যাতন নেমে এসেছিল, তা নিশ্চয়ই মনে আছে? সে নির্যাতন একাত্তরের পাকিস্তানি হানাদারদের নির্যাতনকে মনে করিয়ে দেয়। তাদের অপচেষ্টা এখনো চলছে। ইতিমধ্যে তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
উন্নয়ন, মানবিকতার ও সম্প্রীতির শত্রু সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষবৃক্ষকে উপড়ে ফেলতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।