পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া) উপনির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী সাবেক মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ এক ডজনের বেশি নেতা। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে লবিং, তদবির শুরু করেছেন তারা। ঈশ্ববরদী-আটঘরিয়ার বিভিন্ন এলাকা ছেয়ে গেছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেন্টুনে।
পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ গত ২ এপ্রিল মারা গেলে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের কথা ভাবছে ইসি। আগামী ২৩/২৪ আগস্ট এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
এদিকে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে পাবনা-৪ ও অন্যান্য শূন্য আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি। প্রথম দিনে বশির আহমেদ বকুল, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ আলী জিরুসহ অনেকেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের সহধর্মিণী ঈশ্বরদী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন্নাহার শরীফ, তার ছেলে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ, মেয়ে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহজেবিন শিরিন পিয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবিউল আলম বুদু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি পান্জাব আলী বিশ্বাস, পাবনা
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস। আরও রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লিটন, মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল আলিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বশির আহমেদ বকুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা শিল্পপতি জালাল উদ্দীন তুহিন প্রমুখ।
সাবেক মন্ত্রীর ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ মনোনয়নপ্রাপ্তির আশা প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবা আমৃত্যু আওয়ামী লীগ করেছেন। ঈশ্বরদীর আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাবার যথেষ্ট অবদান ছিল। বাবার মতোই জনগণের সঙ্গে আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিলে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।