ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল বলেছেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করার যে চক্রান্ত হয়েছিলো বিএনপি-জামায়াতের সৌজন্যে, সে চক্রান্ত আল্লাহর অশেষ রহমত ও দেশের জনগণের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সফল হয়নি। উপরন্তু বর্তমানে দ্ব্যর্থহীন নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাতকে আরও শক্তিশালী করার কোনও বিকল্প নেই।’
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন সাবেক এমপি এম এ আউয়াল। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা হয়। ভয়াবহ ওই গ্রেনেড হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলো ২৪ জন। শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ বানী দেন এম এ আউয়াল। একইসঙ্গে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশে একযোগে ৬৩টি জেলায় বোমা বিস্ফোরিত হয়। এম এ আউয়াল বলেন, ‘১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্ট হামলা একইসূত্রে গাঁথা, একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতামাত্র। জাতি এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। শান্তিপ্রিয় বাঙালী জাতিকে আর বিভক্তও করা যাবে না।’
বিবৃতিতে এম এ আউয়াল বলেন, ‘২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় প্রাণহারানো সেই রাজনৈতিক শহীদ ভাই-বোনদের আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করি। তাদের রক্ত আর প্রাণের ত্যাগের বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হারিয়েছে অমিত সম্ভাবনাময় সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী। তাদের পরিবারের প্রতি জানাই সমবেদনা।’
শেখ হাসিনাকে হত্যা আর দেশকে মেধাশূন্য করতে গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো, যার নেপথ্যে রয়েছে বিএনপি জামায়াত, মন্তব্য করে পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতেই ওই হামলা হয়েছিলো। বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় জঙ্গিবাদীরা ওই হামলা করেছিলো বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে।’
এম এ আউয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশকে ধর্মীয় অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালনা করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কোনও বিকল্প নেই। দেশের সকল অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মপ্রাণ পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনা হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ। ’
গ্রেনেড হামলার সঙ্গে যুক্ত হিসেবে আদালতে যাদের বিচার হয়েছে, প্রত্যেক আসামীর বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান এম এ আউয়াল। একইসঙ্গে ১৭ আগস্টের মতো ঘটনাও যেন না ঘটতে পারে, সেজন্য দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সব সময় সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন এম এ আউয়াল।