রাজধানীর উত্তরায় যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিন গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং চেয়ার ছুড়ে মারামারি হয়েছে। শনিবার বিকালে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে ফ্রেন্ডস ক্লাব খেলার মাঠে এই ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এবং যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের একজন সহ-সম্পাদক বলেন, ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আলোচনা সভার উদ্যোগ নেয় যুবলীগ। বিকাল ৫ টার দিকে আলোচনা সভা শুরুর সময় ৫১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী ইফতেখার ইসলাম জুয়েল গ্রুপ ও ৫২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী সোহেল গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের কর্মীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে কিল, লাথি ও ঘুষি মারতে থাকে। তখন যুবলীগের সিনিয়র নেতারা তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। ওই সময় মঞ্চের সামনে এই দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ৫২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি প্রার্থী মিলন, আরেক সভাপতি প্রার্থী কবির হাসান, ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী তৈয়বুর রহমান তৈয়ব গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে।’
যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির একজন নেতা বলেন, ‘হাতাহাতির চরম পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা চেয়ার ছুড়ে মারতে থাকেন। মাঠের প্রায় অর্ধশত চেয়ার ভাংচুর করা হয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন সেখানে বসা নিয়ে কিছু ঝামেলা হয়েছিলো, যা সাথে সাথে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নিখিল বলেন, ‘কোন কমিটি না থাকায় আপাতত কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।’
প্রসঙ্গত প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ওয়ার্ডগুলোর সম্মেলন হলেও এখনো কোন কমিটি হয়নি।