যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ও বিতকর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীমের নাম পরিবর্তন করে অস্ত্র ও মাদক, দুটি মামলায় গোপনে জামিন করানো হয়। এতথ্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর নাম বিভ্রাটের বিষয়টি সামনে আসে এবং আদালত গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে দুটি মামলারই জামিন বাতিল করেন। মাদক মামলার সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপা। পরে গোপনে নাম পরিবর্তন করে এত বড় একটি স্পর্শকাতর মামলায় জিকে শামীমকে জামিন করানো কিভাবে সম্ভব হলো তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডিএজির দায়িত্বে গাফিলতি ছিল কিনা, নাকি অন্য কারো যোগসাজশ আছে তা বের করতে তদন্ত করার কথা বলা হয়। সেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট প্রচার করা হয় মাইটিভিতে চলতি বছরের ১২ জুলাই, রিপোর্ট করেন সিনিয়র রিপোর্টার সাইদুর রহমান আবির। রিপোর্ট প্রচারের দেড় মাস পর সাংবাদিক আবির সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপা। মামলায় বাদীর ঠিকানায় লেখা হয়, জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপা, ডিএজি, স্বামী বদরুদ্দোজা, বিচারপতি, বিচারপতি ভবন, শাহবাগ, ঢাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক আবির বলেন, আমার রিপোর্টে মাননীয় আইনমন্ত্রী, এটর্নি জেনারেল, সাবেক আইনমন্ত্রী এবং বিজ্ঞ আইনজীবী সহ ডিএজি জান্নাতুল ফেরদৌসি রুপার বক্তব্য নিয়েই রিপোর্ট তৈরি করেছি। ডিএজি রুপা ম্যাডামের কাছে তার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন করেছি, সে যা উত্তর দিয়েছেন তাই প্রচার করেছি। দূর্নীতিবাজদের বের করার তদন্তের অগ্রগতির উপর রিপোর্ট করে মামলার ১ নম্বর আসামী হওয়া আমার জন্য দুঃখজনক। আমি মনে করি এই মামলাটা করা হয়েছে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য। আবির আরো বলেন, দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আমার যদি শাস্তি পেতে হয়, তা মেনে নিতে আমি প্রস্তুত।
সাংবাদিক আবিরের বিরুদ্ধে এমন মামলা দায়ের করায় সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।