বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, দেশের পরিবেশ রক্ষায় জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুবই যত্নবান।পরিবেশ সুরক্ষার কাজটি শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ১৯৫২ সালে ফরিদপুর জেলে বাগান তৈরী ও পরিচর্যার মাধ্যমে।
মঙ্গলবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের উদ্যোগে ডেমরা থানাধীন (৭০নং ওয়ার্ড) আমুলিমা মডেল টাউন প্রাঙ্গণে আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র তিন মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচী সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৬২ সাল থেকে পরিবেশের চিন্তা ও পরিবেশ আন্দোলন শুরু হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা জেলখানা থেকে ফরিদপুর জেলখানায় দেয়া হলে বসে অবহেলিত মানুষের মুক্তির চিন্তার পাশাপাশি পরিবেশের কথা ভাবতেন। সকাল-বিকালে সময় পেলে বঙ্গবন্ধু ফরিদপুর জেলখানার বারান্দায় বৃক্ষরোপন করে বাগান রচনা করেছিলেন।
আর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ মাধ্যমে পরিবেশের চিন্তা শুরু হয় ১৯৬২ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী Rachel Carson এর Slient Spring প্রকাশের পর থেকে।
তিনি বলেন, মার্কিন বিজ্ঞানীদের ১০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন পরিবেশের বিপর্যয় হবে, পরিবেশের বিপর্যয় রোধে আমাদের কাজ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবেশের ক্ষেত্রে অনন্য দূরদর্শী নেতা ছিলেন। বিশ্বের বিজ্ঞানীরা যখন পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করতে পারেননি, তখন তিনি চিন্তা করেছেন। তার সরকারের বৃক্ষরোপন। তার মেয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী, আমাদের স্বপ্নের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বৃক্ষরোপন চলছে। পরিবেশ দরদী হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্বের অগ্রসেনানী। পরিবেশ নিয়ে কাজ করায় জননেত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অফ আর্থ পুরস্কার পেয়ছেন।
কৃষক লীগ প্রসঙ্গে দেলোয়ার হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ কৃষক লীগ বৃক্ষরোপন কর্মসূচী, বন্যার্তদের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণ, বোরো মৌসুমে ধান কেঁটে দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করা, বিনা মূল্যে কৃষকের মাঝে সার-বীজসহ কৃষি সামগ্রী বিতরণ, জাতীয় শোক দিবসে স্বেচ্ছায় প্লাজমা-রক্তদান কর্মসূচী, এতিম-অনাথদের মাঝে মৌসুমী ফল ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা অন্যান্য সংগঠনের জন্য অনুসরনীয় হয়ে থাকবে।
তিনি তিন মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ বৃক্ষ রোপন করায় বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশ মত কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোরো মৌসুমে ধান কেটে কৃষকের গোলায় তুলে দেয়া, জাতীয় শোক দিবেস সারা দেশে জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন কৃষক লীগ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, এতিম-অনাথদের মাঝে মৌসুমী ফল ও উপহার সামগ্রী বিতরণ, বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী ও বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণসহ মুজিব বর্ষে আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র তিন মাসে আমরা ৪০ লক্ষ গাছের চারা রোপন করেছি।
তিনি ঢাকা-৫ আসনে আসন্ন উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা পদপ্রার্থী কাজী মুনিরুল ইলাসম মনুর পক্ষে কমিটি গঠন করে বিজয় নিশ্চিতের জন্য কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দান করেন।
প্রধান আলোচক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বর্ধিত সভা আহ্বান ও যে কোন মূল্যে অনুপ্রবেশ রোধ করার পরামর্শ দেন।
বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আকবর আলী চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, আধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু,রেজাউল করিম রেজা,নূরে আলম সিদ্দিকী হক, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম মাসুদ, ৭০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আতিকুর রহমান আতিক, ৬৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোঃ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মহিলা কাউন্সিলর সেলিনা খান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম বাবু, সঞ্চলনা করেন হাজী আব্দুল রব খান। সভা শেষে ডেমরা ৭০,৭১, ও ৭২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫০০(পাঁচশত) গাছের চারা রোপন করা হয়।