বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে, এখনো তিনি পুরোপুরি মুক্ত নন।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে ফখরুল এ কথা বলেন। জাতিসংঘ কর্তৃক ২০০৭ সাল থেকে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গনতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রচলিত একটি বিশেষ দিন, যা প্রতি বছর ‘১৫ সেপ্টেম্বর’ পালিত হয়।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, আহতদের সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল। বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত বাণীতে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তি মানুষের মর্যাদা সমুন্নত থাকে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় মানুষকে দাসে পরিণত করা যায় না। একমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমাজেই কেবলমাত্র মানুষের অধিকার নিশ্চিত হয়। সারা বিশ্বে বহু মত, পথের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহকে ভুলুন্ঠিত করে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এখনো একদলীয় দুঃশাসনের কালো ছায়া বিরাজমান। বর্তমানে বাংলাদেশে নাগরিক স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য হরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে কারও ছায়া দেখলেই আঁতকে উঠতে হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কন্ঠরোধ করা হয়েছে। ভিন্নমতের কারণে অনেকেই গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে, এখনো তিনি পুরোপুরি মুক্ত নন। আমরা বর্তমানে এক ভয়াবহ দুর্দিন অতিক্রম করছি।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরাসরি শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে। জনগণের মতামতই হয় সরকার পরিচালনার ভিত্তি। কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আসুন, আমরা বর্তমান দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে গণতন্ত্র পুণঃরুদ্ধার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে গণতন্ত্রের মুক্তির মাধ্যমে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।‘