উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ার তাগিদ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। ভারতীয়রা দেবে না, তাতে আমাদের কী করার আছে? বরং আর কোথা থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, দেশীয় আমদানিকারকদের বিভিন্ন জায়গা থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘ভারত কখনো পেঁয়াজ দেবে না, কখনো পানি দেবে না। আবার যখন পানির দরকার নেই তখন পানি দিয়ে ডুবিয়ে মারবে। ৫০ বছর যাবৎ এটাই দেখে আসছি। সুতরাং দেশের প্রয়োজনীয় যে সকল পণ্যগুলো আমদানি করতে হবে, সেই সকল পণ্যের উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রাখতে হবে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র ব্যবসা করে না। ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা। সরকার ইউটিলিটি সার্ভিস দেয়। তিনি বলেন, অকটেন বিদেশ থেকে আমদানি করে রিফাইনের পরে খরচ পরে ৪৬ টাকা। অথচ এটি বিক্রি করছে ৮৯ টাকায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো কৃষিতে সর্বোচ্চ ৩০০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ ৩৫ পার্সেন্ট ভর্তুকি কৃষিখাতে দেয় না।
তিনি বলেন, তেল বেচবেন চড়া দামে, চাল খাবেন সস্তা দামে-এটা তো মুদ্রার উল্টো। সেবাখাতে আপনি তো ভর্তুকি দিচ্ছেন না বরং উল্টো লাভ করছেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।