স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দক্ষতায় করোনা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে যতই সমালোচনা হোক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেকে অনেক সমালোচনা করে, কিন্তু আমি মনে করি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। সে সময় তাৎক্ষণিক যে কাজগুলো করার কথা ছিল, সেটা তারা যথোপযুক্তভাবে করেছে দেখেই আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। সেই কথা সব সময় মাথায় রাখতে হবে। প্রত্যেকে নিজের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে। অনেক ডাক্তার, নার্স মারা গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে এক শ্রেণীর লোকই থাকে যাদের সমালোচনা করাই অভ্যাস। পান থেকে চুন খসলেই নানা কথা বলবে, কিন্তু নিজেরা কিছু করবে না। আমি তো বেসরকারি টেলিভিশন অনেকগুলো দিয়ে দিয়েছি, তারপর আছে বিদ্যুৎ। কাজেই এখন তারা এয়ার কন্ডিশন চালায়, বিদ্যুৎ আছে। আবার ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। তারাই একসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে সমালোচনা করেছে। এখন তারা এগুলোই করবে।’

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা আর সুযোগ সুবিধার সবই জনগণের সম্পদ। তাই দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মাঠ প্রশাসনের কাজে গতিশীলতা আনতে ২০১৪-১৫ থেকে শুরু হয় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। সরকারের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের প্রশাসন এবং পর্যায়ক্রমে মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি দপ্তর চুক্তিবদ্ধ হয়।

সকালে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পক্ষ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা। গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সে আয়োজনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এসময় জনপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই প্রবর্তন করা হয়েছে কর্মসম্পাদন চুক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ফলাফল মানুষের কাছেই যাবে। সবারই দায়িত্ব মানুষের পাশে থাকার। সরকারের পাশাপাশি সবাই উচিৎ মানুষের কল্যাণ করা।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি থেকে শুরু করে নানা দুর্যোগে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে সরকারের প্রতিটি দপ্তর। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আছে মানুষের পাশে। সামনের দিনগুলোতেও একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।