আমরা আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অপেক্ষায় আছি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমিতে পরিণত করা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।
নিউজইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফরে বুধবারের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল সহযোগিতা: ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অ্যাকশন টুডে’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সৃষ্ট উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনায় ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেকি এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে চান বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘ডিজিটাইজেশনের জন্য সরকারের চাপের কারণেই বাংলাদেশ ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে। দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশনে জনগণকে পরিবর্তন-নির্মাতা হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-‘১৯ মহামারির ডিজিটাল পরিষেবার শক্তিকে উন্মোচিত করেছে এবং ডিজিটাল বিভাজনকেও প্রকাশ করেছে। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যারই ন্যূনতম ইন্টারনেট প্রবেশগম্যতা নেই। সে শূন্যতা পূরণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সালেহ ওয়ার্ক জেওয়াদি, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর, আলিবাবা গ্রুপের কো-ফাউন্ডার ও জাতিসংঘ মহাসচিবের ডিজিটাল সহযোগিতা সংক্রান্ত উচ্ছ পর্যায়ের প্যানেলের কো-চেয়ার জ্যাক মা, ভার্টি এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সুনিল ভার্টি মিত্তাল, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামির পক্ষে সে দেশের আইসিটি মন্ত্রী পাউলা ইনগাবিরে, ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েভের প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স লি, এক্সপ্রাইজ ফাউন্ডেশনের সিইও অনুশেহ আনসারি, ইউএনডিপির প্রশাসক অচিম স্টেইনার, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপপো গ্রান্ডি প্রমুখ বক্তব্য দেন।