রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতীর কাছে করা তার সকল কমিটমেন্ট রক্ষা করেছেন। এবং এই উপমহাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আশা ভরসার এক মাত্র অবলম্বন।
২৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে রাত ৮.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত বিশেষ ওয়েবিনার “তারুণ্যের অনুপ্রেরণা শেখ হাসিনা” নামক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা এই উপমহাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র৷ এই বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের আশা ভরসা শেখ হাসিনা। গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে সহজ সরল জীবন যাপন করেন শেখ হাসিনা। পিতা মুজিব এর কাছ থেকে তিনি রাজনীতি দেখেই এই বাঙালী জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ, মমত্ববোধ প্রকট আকারে ধারণ করেন। শেখ হাসিনা যেমন মায়া মমতা দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন ঠিক তেমনভাবে রাজনৈতিকভাবে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জাতির কাছে সব ধরনের কমিটমেন্ট রক্ষা করেছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালে যদি আমরা খেয়াল করি- মাত্র ৫৬ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহার কারি ছিল, সেই যায়গা থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের সম্পৃক্ত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছেন। এবং তিনি সফল। এখন দেশে ১০ কোটির অধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। দেশের ইউনিয়নগুলো ডিজিটাল হাবে পরিণত হয়েছে। ৫ হাজার ৮৬৫ টি ডিজিটাল সেন্টারে ১১ হাজার তরুণের কর্মসংস্থান হয়েছে। একটা বড় সংখ্যা যদি বলি সাড়ে ৬ লক্ষ আইটি ফ্রিলেন্সার রয়েছে। কারন ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারনেই।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে শিক্ষা দর্শন ছিল- শিক্ষা হতে হবে বাস্তবমুখী, বুনিয়াদি শিক্ষা, শিক্ষা হতে হবে প্রযুক্তি নির্ভর, বৃত্তিমূলক শিক্ষা। কিন্তু ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৎকালীন অবৈধ দোসররা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরপরে ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পরে শিক্ষা ব্যবস্থায় সুদূর প্রসারী পরিবর্তন হয়। আগে আমরা নারী শিক্ষায় পিছিয়ে ছিলাম এখন তা ছেলেদের চাইতেও এগিয়ে।
যেই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে ছিল তা আজ স্বয়ংক্রিয়। সারাদেশে ১৮০০ টি মাদ্রাসা ভবনের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিগত সরকারের আমলে কি করেছে তারা? শূন্য। আমরা স্বপ্ন দেখি এই দেশ এগিয়ে যাবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে এই দেশ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনা ৬ বছর নির্বাসনে থাকার পরে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন গণতন্ত্র উদ্ধার করার জন্যই। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে এসে গণমানুষের সংকট নিয়ে চিন্তা করেছেন, এবং তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন। শেখ হাসিনার এই পথ ছিল ঝঞ্জাবিক্ষুপ্ত প্রতিকূল ঝুঁকিপূর্ণ। আজকে তার জন্মদিনে তিনি নেত্রী থেকে বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা। আমরা দেখেছি তার জন্মদিনে বিশ্বনেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। সবাই জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
গণভবনে বসে থেকে তিনি সারাদেশের খোজ খবর রাখেন। তিনি নীলকন্ঠী, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা’র বেচে থাকা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার। আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সানজিদা খানম বলেন, নারীদেরকে বিগত সরকারের সময় অমর্যাদাকর অবস্থায় রেখেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তরুণদের সক্ষমতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। তারুণ্যের শক্তিই আমাদের দেশের সমৃদ্ধ। নারীর টেকসই উন্নয়নসহ নানান কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।