‌‌’মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁস: ৫ ডাক্তার, তিনটি কোচিং সেন্টার জড়িত’

মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে তিনটি কোচিং সেন্টার এবং অন্তত পাঁচ জন চিকিৎসকের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এছাড়া প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে, যাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসে মামলার পলাতক আসামি স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আবদুস সালামকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম।

তিনি বলেন, ৫ অক্টোবর বনশ্রী এলাকা থেকে সালামকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৫ সালে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। তাকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

এই সিআইডি কর্মকর্তা আরও জানান, এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত আরও ১০ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।

২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

‘তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জুলাই জসিমউদ্দীন ভূঁইয়া, জাকির হোসেন এবং এসএম সানোয়ার হোসেন নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরও ৭ জন গ্রেফতার হয়।’

আশরাফুল আলম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা সবাই পরস্পর আত্মীয়। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, জসিমের খালাত ভাই সালামই প্রশ্ন ফাঁসের হোতা। তার মাধ্যমেই প্রশ্ন বের হত এবং জসিম তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিত।

তিনি আরও বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। ৫-৬ জন ডাক্তারের নাম আসে যারা মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রের সঙ্গে জড়িত। ৩-৪টি কোচিং সেন্টারের নামও আসে যাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র চলে
যেত।

এসব ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে তিনি জানান। মেডিকেল ও ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে, যাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।