দেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি আর করবেও না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশে নারী নির্যাতনের
সাথে সরকারী দলের সদস্যরা সরাসরি জড়িত এবং ধর্ষিতারা বিচার চাইতে গেলেও তাদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়। ধর্ষণবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আর এটিই একনায়ক, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ সরকার মাধ্যম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এ ডাক দেয়া হয়।
কর্মসূচিতে বিএনপির বলেন, এ কর্মসূচি জনগণের মধ্যে নতুন আশার আলো সঞ্চার করেছে। এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। এ দেশের মানুষ কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। কখনও
বাংলাদেশে নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ইজ্জত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ‘নারী নির্যাতনের হার, ধর্ষণের হার যে বেড়ে গেছে; তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বিবৃতি দিয়েছেন। এটা একটা বিরল ঘটনা। এই বিবৃতিতে বাংলাদেশের মানুষের সম্মান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এতে দেশের মানুষের সমস্ত ইজ্জত নষ্ট হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। গায়ের জোরে বন্দুক-পিস্তল দিয়ে ক্ষমতায় আছে তারা। সরকারের বিরুদ্ধে একটা কিছু একটা বললেই জেল দেয়া হয়।
কর্মসূচি থেকে মির্জা ফখরুল নারী, তরুণসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার পরাজিত হবে। আমরা জয়ী হব।’
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ধর্ষণের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মাসখানেক ধরে দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে। পুলিশ কিছু করেনি। কারণ সারা দেশে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ভোটচুরির সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। তাই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভয় পায় না। ভয় পায় পুলিশকে।