বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বহুমাত্রিক। প্রতিবেশী দেশের সাথে সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ যে কোন সমস্যার সমাধান সহজতর হয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।
তিস্তার পানিবন্টনসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দু’দেশ আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়টি সম্মানজনক সমাধানে দৃঢ়ভাবে আশাবাদী ইতোমধ্যে আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
আজ (১২ অক্টোবর) সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের মান্যবর হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সৌজন্য সাক্ষাতশেষে ব্রিফিং-এ মন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, একুশ বছর দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের যে কৃত্রিম দেয়াল ছিল তা এখন আর নেই। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন দুই প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো সমস্যাও সমাধান হয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অফুরন্ত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে উভয় দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে।
এসময় মন্ত্রী জানান, ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বিআরটিসি’র জন্য নয়শ’ আটাশটি বাস এবং পাঁচশ’ ট্রাক সংগ্রহ করা হয়েছে। সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশুগঞ্জ নদীবন্দর হতে সরাইল-ধরখার হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলেছে বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান।