ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় যা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। তিনটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
এর আগে শুক্রবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো হয়।
৩ সেপ্টেম্বর এ দুটি আসনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও এ দুটি আসনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় নির্দিষ্ট যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা-৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দীন।
তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো অভিযোগ পাইনি। সব কেন্দ্রে নিরাপদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পৌঁছেছে। মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য টহল দিচ্ছেন।
ইসির এক সূত্র বলছে, ঢাকা-৫ আসনের কয়েকটি ওয়ার্ডে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে রয়েছে। এদিকে নওগাঁ-৬ আসনে সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।
এক নজরে ঢাকা-৫ : আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা ৬ মে মারা যাওয়ায় শূন্য হয় ঢাকা-৫ সংসদীয় আসন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন প্রার্থী।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পার্টির মীর আবদুস সবুর, গণফ্রন্টের এইচএম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরিফুর রহমান।
এ আসনে ১৮৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ রয়েছে ৮৬৪টি। এতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭১ হাজার ১২৯ জন; যাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৬৪ জন ও নারী ২ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৫ জন। এ নির্বাচনী এলাকায় ২ জন জুডিশিয়াল ও ২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নওগাঁ-৬ : আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম মারা গেলে ২৭ জুলাই নওগাঁ-৬ আসন শূন্য হয়। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন (হেলাল), বিএনপির শেখ রেজাউল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির খন্দকার ইন্তেখাব আলম।
আসনটিতে মোঠ ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ৬ হাজার ৭২৫ জন; যাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৮ জন ও নারী ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৬৭ জন।