৭১’ এর রনাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আতাউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি মৃত্যুবরণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।
আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আতাউর রহমানের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিজের জীবনবাজী রেখে বীরত্বের সাথে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি দেশবাসীর নিকট চিরঅম্লান হয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি ও মুক্তিযোদ্ধা দলকে সুসংগঠিত করতে মরহুম শেখ আতাউর রহমানের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। মরহুম শেখ আতাউর রহমান অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের একজন মানুষ। পৃথিবী থেকে তাঁর চিরবিদায়ে আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি।
শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে গভীরভাবে বিশ্বাসী মরহুম হাফিজুর রহমান আটপাড়া উপজেলা বিএনপি ও আটপাড়া ছাত্রদলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন সেজন্য তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে তার সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। দোয়া করি মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে বেহেস্ত নসীব এবং শোকার্ত পরিবারবর্গকে এই মৃত্যশোকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।