করোনা পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, গত বোরো মৌসুমেও ধানের অত্যন্ত ভালো উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কয়েক দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে আমন ধান উৎপাদন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এরই সুযোগে অতিমুনাফা হাতিয়ে নিতে মিল মালিক, পাইকার ও ফড়িয়ারা মিলে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
রবিবার সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আহম্মদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, । গত বোরো মৌসুমেও ধানের অত্যন্ত ভালো উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কয়েক দফার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে আমন ধান উৎপাদন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আশানুরূপ উৎপাদন না হওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। এসব কারণে আমরা লক্ষ্য করছি, যারা মিল মালিক, পাইকার ও ফড়িয়া-এরা মিলে অতিমুনাফা করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সরকার এদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে খুব সতর্ক ও কঠোর অবস্থানে আছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই কৃষিবান্ধব ও কৃষকদরদী। তাঁর নেতৃত্বে সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ, সার, বীজ, সেচসহ কৃষি উপকরণে ভর্তুকি প্রদান এবং ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন ও চাষের ফলে দেশে খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এই দুর্যোগেও এখন পর্যন্ত দেশে খাদ্যের কোনো সংকট হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতেও যে কোনো পরিস্থিতিতে কোনক্রমেই যাতে মানুষের খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সরকারের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের কোনো মানুষকে যাতে না খেয়ে কষ্ট করতে না হয় সেটার নিশ্চয়তা দেয়া। সেজন্য, প্রয়োজন হলে অল্প পরিমাণ চাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে।
এ সময় মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা, পৌরসভার মেয়র মো: মাসুদ পারভেজসহ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।