বিজয়ী জাতিরা অন্যের কাছে মাথা নিচু করেনা বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাঙ্গালীরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তাদের ভাষার অধিকার ফিরিয়েছে। অতএব আমরা সারাবিশ্বে বিজয়ীর বেশেই চলবে। লাখো মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই আমরা এই বাংলাদেশকে আবার গড়ে তুলতে চাচ্ছি ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০ বিতরণ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ যখন একটা সমাজের জন্য, একটি জাতির জন্য, একটি দেশের জন্য অবদান রাখে; তাদের সম্মান করা, গুণীজনের সম্মান করাটা আমি মনে করি আমাদের কর্তব্য। সেই থেকে আমরা এই ব্যবস্থাটা নিয়েছি– দিচ্ছি স্বাধীনতা পুরস্কার।
পচাত্তরপরবর্তী সামরিক সরকারগুলোর সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর থেকে সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা হয় এবং তাদের মুক্তি দেয়া হয়। যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল… মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমান… ক্ষমতায় এসেই এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে যারা কারাগারে বন্দি ছিল, তাদের মু্ক্তি দেয়। আর যারা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল, এমনকি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল, তাদেরও ফিরিয়ে আনে।
শুধু এখানেই শেষ না, তাদের মন্ত্রিত্ব দেয়, উপদেষ্টা করে। জাতির পিতার হত্যাকারী, আত্মস্বীকৃত হত্যাকারী; যারা খুব গর্ব করে বলত– কে তাদের বিচার করবে? সেই খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে।’
অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্ত থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কারজয়ী ৯ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে পদক তুলে দেন।