অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশু কন্যা হত্যা: কয়েদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

লক্ষীপুরের রামগতিতে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই বছর বসয়ী শিশু কন্যাকে হত্যার দায়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আব্দুল গফুর নামের এক কয়েদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ ওই কয়েদির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আব্দুল গফুর লক্ষীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চর লরেন্স এলাকার শামসুল হকের ছেলে।

কাশিমপুর কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল ফাঁসির রায় কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন ।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২- এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, ২০০৬ সালে লক্ষীপুরের রামগতি থানার দক্ষিণ চর লরেন্স এলাকায় ৫ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী ও দুই বছরের এক কন্যা শিশুকে হত্যা করে আব্দুল গফুর। পরে এ ঘটনায় রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০০৮ সালে আদালত আব্দুল গফুরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

এরপর আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করলেও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেওয়া হয়। অবশেষে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আব্দুল গফুরকে জল্লাদ শাহজাহান ভূইয়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন।