জো বাইডেন জয়ী হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী অ্যালান লিচটম্যানের

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর অ্যালান লিচটম্যান ১৯৮৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছেন। এবারের নির্বাচনের মূল ১৩টি পয়েন্ট ধরেই ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।

অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর চন্দ্রশেখর পুৎসা গত চারটি নির্বাচন থেকে গাণিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্বাচনের ভবিষ্যদ্বাণী করছেন। তার মতেও এবার বিশাল ব্যবধানে জয়ী হবেন বাইডেন। পপুলার ভোট ও ইলেক্টোরাল কলেজ- দুই জায়গাতেই জিতবেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবারও জয়ী হওয়ার বিষয়েও আছে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী। ২০১৬ সালের জনমত জরিপের বিপরীত ফলের কারণে ভবিষ্যদ্বাণীগুলোও বিবেচনায় নেয়ার দাবি রাখে।

১. হেলমুট নোরপথ : স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটির এ প্রফেসর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারির ফলাফলের ওপর নির্ভর করে। তার মতে, ট্রাম্পের পুনরায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ৯১ শতাংশ। ২০১৬ সালে হিলারিকে হারিয়ে ট্রাম্প জয়ী হবেন বলেছিলেন তিনি।

২. পিউ রিসার্চ : নির্দলীয় আস্থাভাজন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চের কে জয়ী হবে- প্রশ্নের জবাবে ৫০ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার বলেছেন ট্রাম্প, ৪৮ শতাংশ বলেছেন বাইডেন।

৩. জেফরি গান্ডলাখ : বিলিয়নিয়ার বন্ড বিনিয়োগকারী ২০১৬ সালেও সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। রিপাবলিকান প্রাইমারি শেষ হওয়ার পরই তিনি বলেছিলেন ট্রাম্প জিতবেন।

এবার তার মত হচ্ছে, জরিপগুলো বিশ্বাসযোগ্য নয়। কমলা হ্যারিসকে বাইডেনের রানিং মেট করাও সঠিক হয়নি মনে করেন তিনি।

৪. মিট রমনি : ট্রাম্পের কড়া সমালোচক এ গভর্নর তিনটি পয়েন্ট দিয়েছেন ট্রাম্পের পক্ষে। ১. বর্তমান প্রেসিডেন্টে জেতার প্রচুর সম্ভাবনা ২. নিজের যোগাযোগ ব্যবস্থার চেয়ে ট্রাম্প নিজেই বেশি টানতে পারেন মধ্যবিত্তদের ও ৩. প্রেসিডেন্টের বিরোধীদের প্রতি বেশি আকর্ষণবোধ করা লোকেরা ভোট দিতে আসে না।

৫. নাইজেল ফারাজ : উগ্র ডানপন্থী এ ব্রিটিশ রাজনীতিক ২০১৬ সালেও ট্রাম্পের বিষয়ে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তার মতে, বাইডেন জিতবেন না কারণ এবারও ২০১৬ সালের মতোই অবস্থা।

৬. বেলা স্ট্যান্টিক : অস্ট্রেলিয়ান এ প্রফেসর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডাটা ব্যবহার করে বলেছেন, সামান্য ব্যবধানে জিতে যাবেন ট্রাম্প।

৭. স্টিভ মুর : ট্রাম্পপন্থী এই অর্থনীতিবিদের ফেডারেল রিজার্ভের প্রার্থিতা ট্রাম্প সমর্থন করেননি। তার ট্রাম্পের পক্ষে বাজির কারণ ডেমোক্র্যাট রাজ্যগুলো থেকে মানুষের অভিবাসী হয়ে যাওয়া।

৮. আর্ক ক্রোফোর্ড : এই ওয়াল স্ট্রিট অ্যাস্ট্রোলোজারের মতে, ভোটের দিন ট্রাম্পের মনে থাকবে ইউরেনাস গ্রহ। এটি জয়ের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।

৯. অনলাইন জুয়েলার : গুগল সার্চ ডাটার ওপর ভিত্তি করে এক অনলাইন জুয়েলারের বাজি- ট্রাম্পই জিতবেন।

১০. ইতালিভিত্তিক সেন্টিমেন্ট বিশ্লেষণ টুল : এই টুল বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, জনমত জরিপগুলো থেকে ট্রাম্প-বাইডেন লড়াই আরও বেশি হাড্ডাহাড্ডি।

১১. হ্যালোউন মাস্ক সেলস : এটি ১৯৮৪ সাল থেকে নিপুণতার সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী করে আসছে। মাস্ক সেলসের ট্রাম্পের পক্ষে বাজি ৬৬ শতাংশ, বাইডেনের পক্ষে ৩৪।