জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং জাতীয় চার নেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
মঙ্গলবার সকালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অপর নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের কবর রাজশাহীতে হওয়ায় সেখানেও দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সদ্য স্বাধীন দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা জাতীয় চার নেতাকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
জাতীয় এই চার নেতা হলেন- স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র, বেসামরিক সরবরাহ, ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কৃষিমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান।
সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আবদুর রাজ্জাক, আবদুল মতিন খসরু ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বনানী কবরস্থানে পবিত্র ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় চার নেতার মধ্যে এএইচএম কামারুজ্জামানকে রাজশাহীর কাদিরগঞ্জে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সেখানেও কর্মসূচি পালিত হয়।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, ছাত্রলীগ উত্তর ও দক্ষিণ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন জাতীয় চার নেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।