নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতার হত্যা দিবসে তাদের সমাধীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনীর্বাহী কমিটি ও ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিনে নেতৃবৃন্দরা শ্রদ্ধা জানান।
এসময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, এটি কোন ব্যক্তিগত হত্যাকান্ড নয়, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে কলোনিতে রূপান্তর করাই ছিলো স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগে সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান সাইদ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর, সহসভাপতি আবুল বাসার লিকু সিকদার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান, ফিরোজ তালুকদারসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৮টায় ধানমন্ডির ৩২ নং সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে জেলখানার ভেতরে গুলি করে ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকচক্র। সেদিনের ওই ঘটনায় দেশবাসীসহ সমগ্র বিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে জঘন্য ও বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাক আহমদের প্ররোচণায় এক শ্রেণীর উচ্চাভিলাসী মধ্যম সারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তারা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। রাষ্ট্রের হেফাজতে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনাটি বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে।