প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত সফলভাবে সরকার পরিচালনা ও দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন বলে দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন,
দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে, অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।
শনিবার সকালে মানিকগঞ্জের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায়’ এ কথা বলেন।
এসময় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করতে হলে বিগত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যে উন্নয়ন করেছি তার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ড. রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনানুযায়ী মানুষের সেবায় আমাদের নিয়োজিত থাকতে হবে। মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গল করাই হলো রাজনীতি। মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গল করার কাজে আমাদের নিয়োজিত থাকতে হবে, রাজনীতিকে কাজে লাগাতে হবে। আজকের এ বর্ধিত সভায় সে শপথ আমাদের নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু কর্মী আছে যারা নিজের স্বার্থে অপকর্ম করে দলের গায়ে কালিমা লেপন করে। তাদের হাত থেকে দলকে রক্ষা করতে হবে। সবসময় মানুষের পাশে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে দলের ভাবমূর্তি আরও বাড়াতে হবে, সুসংহত করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ একসময় ভিক্ষুকের জাতি ছিল, খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। সেই বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। চাল উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে তৃতীয় হয়েছে। কৃষির অন্যান্য ক্ষেত্রেও অনেক সাফল্য এসেছে। কৃষির এই সাফল্যকে ধরে রেখে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করা হবে। গ্রামীণ বাংলাদেশকে সত্যিকারের শহরের রূপান্তর করতে হলে গ্রামীণ মানুষের আয় বাড়াতে হবে। তাদের আয় না বাড়লে জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করা সম্ভব নয়।
বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংসদ নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাংসদ মমতাজ বেগম এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো: আব্দুস সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।