নূর হোসেন যে গণতন্ত্রের আশায় বুকে ও পিঠে (‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক) লিখেছিল তার মূল উদ্যেশ্য এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, নূর হোসেন হয়তো চেয়েছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলের গণতন্ত্রের চেয়ে আরও ভালো গণতন্ত্র পাবে দেশ এই আশায় বুকে ও পিঠে লিখেছিল ‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।’ গণতন্ত্র কি মুক্তি পেয়েছে?
মঙ্গলবার দলের বনানী কার্যালয়ে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্থান্তর করেন। কিন্তু ’৯১ সালের নির্বাচনের পর তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংসদীয় পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারদলীয় সদস্যরা দলের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যে দল সরকার গঠন করে, সেই দলের প্রধানই সংসদীয় দলের নেতা এবং সরকারপ্রধান হন। সরকারপ্রধান যে সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই বাস্তবায়ন হয়। এতে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুল করে না। প্রকৃত গণতন্ত্র নিশ্চিত হলে রাষ্ট্রের সব স্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। জবাবদিহি নিশ্চিত হলে দেশে সুশাসন নিশ্চিত হবে যাতে সামাজিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।