‘সংবিধান লঙ্ঘনকারী কোন অবৈধ সরকার জনগণের অধিকারের নিয়ে ভাবেনি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের কথা কখনও বলেনি। কিন্তু স্বাধীনতার পরে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই সমুদ্রে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের দুটি অফশোর প্যাট্রল ভেসেল (ওপিভি), পাঁচটি ইনশোর প্যাট্রল ভেসেল (আইপিভি), দুটি ফাস্ট প্যাট্রল বোট (এফপিভি) ও বিসিজি বেইজ ভোলার কমিশনিং অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে আইন করে দিয়ে যান। আমরা ক্ষমতায় না এলে এই সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার আছে, এটা কোনো দিনই প্রতিষ্ঠিত হতো না। জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের কথা কখনও বলেনি।

‘আমরা যদি জিয়াউর রহমান সরকারের কথা বলি, এরশাদ সরকারের কথা বলি বা খালেদা জিয়ার সরকারের কথা বলি; যার কথাই বলি…– একজনও মেরিটাইম বাউন্ডারিতে আমাদের যে অধিকার আছে, সেই অধিকারের কথাটা কখনও তারা উল্লেখ করেনি।’

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে এসে সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিতে কাজ করলে পরে বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। হয়তো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না বসলে এই সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার আছে, এটা কোনো দিনই প্রতিষ্ঠিত হতো না।

সমুদ্রসম্পদকে কীভাবে কাজে লাগানো যাবে, সরকার ইতিমধ্যে সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সমুদ্রসম্পদ দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে কাজে লাগানোর একটা সুযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টাই হচ্ছে… কারণ বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সাগর। বিশ্বের অনেক ব্যবসাবাণিজ্য এখান থেকেই চলাচল করে। সেদিক থেকে এখানে আমাদের অধিকারটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘তা ছাড়া আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বাস করেন, তাদের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক উন্নতিটাও আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ তারা সব সময় অবহেলিত। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এ সমুদ্রসম্পদকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে লাগাতে চাই।’

সুনাম বজায় রাখতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও ইমানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে কোস্টগার্ডের সদস্যদের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।

কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপোযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কোস্টগার্ড বার্থ প্রান্তে বাহিনীর মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আশরাফুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।