বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিজভীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. বিটু জানান, পরবর্তী চিকিৎসা নিতে রিজভী আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের ৬০১ নম্বর কেবিনে ভর্তি হন। হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁর পরবর্তী চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
হৃদরোগে আক্রান্ত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর চিকি হার্টের এমপিআই (Myocardial Perfusion Imaging-MPI) টেস্ট করা হয়েছে। হার্টের এনজিওগ্রাম করার ২৮ দিন পর বিএসএমএমইউর নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে এই পরীক্ষা করা হয়। এমপিআই টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী আজ মেডিক্যাল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবেন বলেও জানান ডা. বিটু।
গত ১৫ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালে রিজভীর হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। এ সময় তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটির ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ অপসারণ করা হয়। এরপর ২৭ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এ সময় তার ইকো কার্ডিওগ্রামও করা হয়।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পরদিন ২৮ অক্টোবর রিজভীকে ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে শ্যামলীর আদাবরের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন। ডা. রফিকুল ইসলাম ও ডা মনোয়ারুল কাদির বিটু বাসায় রিজভীর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। রিজভীর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুর রহমান তুষার বাসায় তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক দলের মানববন্ধন শেষে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় রিজভীর হার্ট অ্যাটাক হয়। প্রথমে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হলে হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।