আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য হবেই। কোনো অপশক্তি নেই এটা প্রতিহত করার। যারা এই ভাস্কর্য্যের বিরুদ্ধে কথা বলবেন তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। জনগন প্রতিহত করবে।
আজ শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির।
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, শহীদ সেরনিয়াবাত ও সাজেদা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল ও মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আকতার হোসেন ও গোলাম সারোয়ার কবির, দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমূখ।
মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ভাস্কর্য্য নিয়ে কিছু আলেম ওলামা মাশায়েখ উগ্র কথা বলছেন। তারা নাকি ইসলামের ধারক-বাহক। ইসলামে জঙ্গীবাদ, মৌলবাদের স্থান নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ তারা শান্তির ভাষায় কথা বলছে না। তাদের যে উগ্রতা সেটা ইসলামের কথা হতে পারে না। শান্তির ধর্মের কথা হতে পারে না। ওলামা মাশায়েখদের কাছে প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি আরও বলেন, আপনারা কোন ইসলামের কথা বলছেন? আপনাদের এই ভাষা জনগণ বরদাশত করবে না।
হানিফ বলেন, ওলামা মাশায়েখরা ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে উগ্র-জঙ্গীবাদী টাইপের কথা বলছেন। ইসলাম সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের ভাষা নয়।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে সরকার আছে, জনগণ আছে। তাদের শক্তি সম্পর্কে আপনাদের অবহিত থাকতে হবে। উগ্রবাদী-সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদী কথা বলে শ্রদ্ধা ধরে রাখতে পারবেন না। জনগণ বরদাশত করবে না। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা রাজাকারদের হুমকী শোনার জন্য এদেশ স্বাধীন হয় নাই, এটা পরিস্কার মনে রাখবেন। অযথা মাঠ গরম করার চেষ্টা করবেন না।
শাপলা চত্বরের কথা বলে যারা হুমিক দিচ্ছে তাদের সমালোচনা করে হানিফ আরো বলেন, যারা শাপলা চত্বরের কথা বলছেন তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। সেদিন রাতের অন্ধকারে পালিয়ে গেছেন তারা। আজ আবার কোন মুখে সরকারকে হুমকি দেয়?
ইন্দোনেশীয়া, সৌদিআরব, ইরান, জর্দান এমনকি পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশগুলোতে ভাস্কর্য্য রয়েছে দাবী করে তিনি আরও বলেন, ওইসব দেশে ভাস্কর্য্য নিয়ে তো কেউ কথা বলে না।
বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাচার ও অভিযোগে ভরা।
প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি এতো বড় মাপের নেতা হয়েও সব সময় নিজেকে দলের একজন কর্মী বলেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। ওনার কাছে বিনয় শেখার আছে। তিনি ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মুখে প্রিয় নেত্রীকে মানবঢাল করে যেভাবে রক্ষা করেছেন তা সবচে বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।