যমুনা নদীর ৩০০ ফিট উজানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, এই সেতু নির্মাণ হলে রেল সংযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণে দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ব্যাপক উন্নতি হবে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।
৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল-লাইন ডুয়েল-গেজের এই রেল সেতু নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থার প্রভুত উন্নতি হবে। এই ডুয়েলগেজ ডাবল-ট্র্যাক সেতুটি দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড রেল সেতু হবে।
নতুন সেতুর ওপর দিয়ে ব্রডগেজ লাইনে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ লাইনটিতে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে রেল চলতে সক্ষম হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মিত হলে ৮৮টি রেল চলাচল করতে সক্ষম হবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকার অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে এবং ২ হাজার ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে আসবে।
২০১৪ সালের ২৫ থেকে ২৮ মে টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাপানকে এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। পরে ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ঢাকা সফরে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি উত্থাপন করেন।