সরকারের নৈরাজ্য ধামাচাপা দিতে আলেমদের মাঠে নামিয়েছে বলে বলে অভিযোগ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, সারাদেশে আজ সরকারের দূর্নীতিতে ভরেগেছে। জনসাধারণ যাতে প্রতিবাদ না করতে পারে তার অপকৌশল হিসেবে আলেমদের ব্যবহার করছে সরকার।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে স্বাস্থ্য খাতে নৈরাজ্য ও দুর্নীতি বন্ধ ও ওষুধের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে চারদিকে যে নৈরাজ্য, এই নৈরাজ্য থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য সরকারই আলেমদেরকে বিপথে চালিত করছে। আমি আলেমদের বলি, অযথা এসব বিতর্কে না জড়িয়ে আন্দোলনে আসেন। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না তার জন্যে। সরকারের কিছু পয়সা পেয়ে তাদের কথায় নাইচেন না, তাদের কথায় নাচলে আপনাদেরই ক্ষতি হবে।’
ঢাকা মহানগরে পূর্বানুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে পুলিশকে দিয়ে যে হঠাৎ নোটিশ ডিএমপির, আমি বলি, পুলিশ সরকারের খাদেম নয়, জনগণের খাদেম। পুলিশের শত অভাব-অভিযোগ আছে। আজকে পুলিশ অফিসারদের সরকারি বাড়িঘর নেই। তাদের বাইরে গিয়ে থাকতে হয়, তাদের বেতনের চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে। এ অবস্থায় থাকলে তারা ঘুষ খাবে না তো কী করবে। পুলিশ বাহিনীর প্রতি আমার আবেদন থাকবে- অন্যায় নির্দেশের কথা আপনারা শুনবেন না।’
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওষুধ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। সরকার যদি নীতি মানে ১৫ দিনের মধ্যে ওষুধের দাম কমপক্ষে অর্ধেক হবে। ১৯৮২ সালের যে ওষুধ নীতি করা হয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত লাভ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’