আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, শেখ মনির আদর্শ ধারণ করে যুবলীগকে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, লেখক-সাংবাদিক, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি’র ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, শেখ ফজলুল হক মনি ছিলেন অধিক সাহসী এবং বিশ^স্ত। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতি ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা। তিনি যা বিশ^াস করতেন, তাই করতেন। আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপোষহীন। শেখ মনির আদর্শ ধারণ করে যুবলীগকে অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ভার্চুয়াল ভাবে সভায় যোগদান করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীরা ষড়যন্ত্র করছে। এরা সেই শক্তি যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের সহায়তা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা এবং মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করতে সহায়তা করেছে। আর কোন সাম্প্রদায়িকতা যেন বাংলাদেশে মাথা উচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেজন্য যুবলীগকে সোচ্চার থাকতে হবে। মৌলবাদীদেরকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মৌলবাদী ও ধর্মান্ধরা ধর্মের নামে অপরাজনীতি শুরু করেছে। এদের অতীত খুঁজে দেখতে হবে। একাত্তরে এদের ভূমিকা কি ছিল। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মদদে মৌলবাদীরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মৌলবাদীদের সাম্প্রদায়িকতার ষড়যন্ত্র রুখতে যুবলীগকে সোচ্চার থাকতে হবে।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানে অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে আজ বাংলাদেশ। ঠিক সে সময়ে বাধা হয়ে দাঁড়িযেছে মৌলবাদ। সমস্যাকে এড়িয়ে না গিয়ে, ভিতরে যেতে হবে। ভিতরে ঢুকেই সমাধান করতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
এ উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯ টায় ধানমন্ডি-৩২ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এবং সকাল ১০টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনিসহ সকল শহীদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন, অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ ও সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।