বিশ্বে মুসলীম প্রধান বহু দেশে ভাস্কর্য আছে: ইসলামী পার্টি

ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনাকে ঘিরে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি আলেম সমাজ ও সরকারের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাস্কর্য বিষয়ে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা মো. ইসমাইল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভাস্কর্য নিয়ে জামায়াত-বিএনপি গভীর ষড়যন্ত্র করছে, তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। জামায়াত-বিএনপি হেফাজত ইসলামকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে। এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার এবং নীরিহ আলেম সমাজকে মাঠে নামার উস্কানি দিচ্ছে।

বাংলাদেশে ভাস্কর্য নির্মাণ কোন নতুন বিষয় নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাচীন ঈসা খা’র আমলের সোনারগাঁয়ে ভাস্কর্য রয়েছে, সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ভাস্কর্য রয়েছে, জিয়াউর রহমান, মাওলানা আব্দুর হামিদ খান ভাসানীর ভাস্কর্য রয়েছে।

সৌদি আরব, দুবাই, ওমান, কাতার, মিশর, পাকিস্তান এবং তুরস্কেও ভাস্কর্য রয়েছে। ইতিহাসকে সংরক্ষনের জন্য তারা যুগে যুগে ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বর্তমান সরকার ইসলাম প্রিয় সরকার এ কথা উল্লেখ করে মাওলানা ইসমাইল বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি, মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের অবিসংবাদিত নেতা। তার সুজগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্ম প্রাণ মুসলমান। তিনি আলেম সমাজের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ও বিনয়ী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য একটি কুচক্রী মহল ভাস্কর্যের বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। সরকার ও জনগণের মধ্যে একটি দূরত্ব সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপরে আলেম সমাজ কি করতে চান, তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে পারেন। হুমকি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে নয়, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে ইসলাম প্রচার করা যায়না। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ নীতিনির্ধারকদের সাথে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।