জনসাধারণের বিচারের ভয়ে ক্ষমতা স্থাতায়ী করতে আওয়ামী লীগ কৌশলে অনিয়মের মাধ্যম বেছে নিয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসটিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক স্বৈরাচার রাষ্ট্র পধান ছিলো তারা অন্যায় করে বেশিদিন টিকে থাকতে পারে নি। দুর্নীতি ও খুন-গুম-হত্যা-অপকর্ম করে আওয়ামী লীগ বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এত দুর্নীতি ও খুন-গুম-হত্যা-অপকর্ম করেছে যে, তারা ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছেন। আতঙ্কে প্রহর কাটছে তাদের। ক্ষমতা থেকে চলে গেলে এ দেশের মানুষ তাদের বিচার করবে। এই বিচারের ভয়ে কৌশল করে চিরদিন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গায়ের জোরে আজীবন ক্ষমতায় থাকার দুরভিসন্ধি পূর্ণ করতে চাচ্ছেন। এখন তার দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাদের নেত্রীর অভিলাষের কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ গত শনিবার এক বৈঠকে বলেছেন– ‘শেখ হাসিনা যতদিন শারীরিকভাবে সক্ষম থাকবেন, ততদিন তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন’। এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন– ‘আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন শেখ হাসিনা’। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন– ’শেখ হাসিনা আমৃত্যু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন’।
হানিফ সাহেবরা ভোট রঙ্গ করে শেখ হাসিনাকে কেন আজীবন ক্ষমতায় রাখতে চান, তা খুব ভালো করে জানে দেশের মানুষ, বলেন তিনি।
‘রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদে থেকে তাদের এ ধরনের বক্তব্য অসাংবিধানিক ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। দেশে যে একদলীয় বাকশাল কায়েম যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, তাদের বক্তব্যে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে।’
লুটপাটের জন্য শেখ হাসিনাকে তারা আজীবন ক্ষমতায় রাখতে চান বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ক্ষমতা থেকে চলে গেলে লুটপাট-অপকর্মের মচ্ছব বন্ধ হয়ে যাবে। ভাগে-যোগে দেশটাকে লুটেপুটে নিয়ে কানাডায় বেগমপাড়া, আমেরিকায় সাহেবপল্লী, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, লন্ডন, ইউরোপ, দুবাইতে তাদের অর্থপাচার বন্ধ হয়ে যাবে।
‘তারা জানে শেখ হাসিনা যতদিন থাকবে, ততদিন অবাধে লুটপাট করা যাবে। তাই যে কোনো উপায়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চান তারা।’