ইরান অবশ্যই ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের প্রধান লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি আরও বলেন, হত্যার নির্দেশদাতা এবং এর সঙ্গে জড়িতদেরও বিচার করা হবে।
গুপ্ত হামলায় নিহত জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল মুহানদিসের পরিবারের সদস্যরা বুধবার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। খবর তাসনিম নিউজের।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার সঙ্গে ওই বৈঠকে কাসেম সোলাইমানির কয়েকজন সহযোদ্ধা এবং শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্যরাও যোগ দিয়েছিলেন। সোলাইমানির প্রথম শাহাদাৎবার্ষিকীকে সামনে রেখে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, কাসেম সোলাইমানি হচ্ছেন জাতীয় বীর, তিনি শুধু ইরান নয় গোটা মুসলিম উম্মাহর মহান বীর। তিনি বলেন, সোলাইমানি ছিলেন সাহসী, প্রতিরোধী, বিজ্ঞ, আত্মত্যাগী এবং মানবপ্রেমী। তার মাঝে ছিল আধ্যাত্মিকতা ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্য। কিন্তু তিনি কখনোই অন্যকে দেখানোর জন্য বা প্রদর্শনের জন্য কিছু করতেন না।
খামেনি বলেন, সোলাইমানি সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য পরাজয় ডেকে এনেছেন। ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি আইন আল আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে চপেটাঘাত করেছে ইরান। এর চেয়েও বড় চপেটাঘাত হচ্ছে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদীদের ফাঁকা অহংকার চুরমার করে দেয়া।
এই শক্ত চপেটাঘাতের আরেকটি অংশ হলো এই অঞ্চল থেকে মার্কিনীদের বিতাড়িত করা। এ জন্য আঞ্চলিক ঐক্য এবং প্রতিরোধমূলক নীতি প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ির ওপর ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে মার্কিন সেনারা।
হামলায় ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ দুই দেশের আরও ৮ কমান্ডার শহীদ হন। এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে। নিন্দার ঝড় উঠে সর্বত্র।