জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী আরও ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে আরও ৬ লাখ মানুষের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৮১৫ জনে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ছিল ১৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৬ জন।
এছাড়া করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৯ জনে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪২ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ১৭ হাজার ১৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৮৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজারেরও অধিক মানুষ মারা গেছেন। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দুটি করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। ফাইজারের পর গত সপ্তাহে মর্ডানার ভ্যাকসিনও অনুমোদন দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এবং মৃত্যু নিয়ে আছে তৃতীয় অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
ভারতে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৫ হাজার ছড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ১১১ জনের। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৭৩ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৯ জনের।
এদিকে যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন যে করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে, তা আরও সহজে ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা আশংকার কারণ। তবে ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে নতুন এই ‘ধরন’ (স্ট্রেইন) করোনা ভ্যাকসিনের জন্য হুমকি বা আরও মারাত্মক কোনো রোগের কারণ হতে পারে কিনা।
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৩২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন করে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩১৮ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জনে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১৫ হাজার ৪৫২টি। অ্যান্টিজেন পরীক্ষাসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১৪৫টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮.৭০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬.২১ শতাংশ। মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ২৩৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯২৯ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ৭৭ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।