পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ করার প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর না

বিজয়ের মাসেই দেশের মানুষ দেখেছে আরেক বিজয়। আর সেটি পদ্মা সেতুর স্বপ্নকর এক বাস্তব রুপ রেখা। দেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামোকে সেতুর নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে করার প্রস্তাব উঠেছে জাতীয় সংসদে।

বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার দলীয় দুজন সংসদ সদস্য এ প্রস্তাব দেন। তবে এই প্রস্তাব সরাসরি নাকোচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, আমি জানি মাননীয় নেত্রী আপনি উদার। আপনি মহানুভবতার মূর্ত প্রতীক। প্রেরণা কোনদিন প্রকাশ্যে আসে না প্রেরণা ভেতরে লালন করে। আর অক্সিজেন নিজেকে জড়িয়ে অপরকে আলোকিত করে। আপনি নিজের নামেই পদ্মা সেতু করবেন। ইতিমধ্যে আপনি না করেছেন কিন্তু আমাদেরও দায়বদ্ধতা আছে।

প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। প্রথমে তিনি হাত নেড়ে এবং পরে মাথা নেড়ে ‘না’ ‘না’ করেন। সংসদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশন থেকে সেই দৃশ্য দেখা যায়।

আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ বলেন, দুনিয়ার সবচেয়ে খরস্রোতা নদী পদ্মাকে শাসন করে বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে এই সেতু নির্মাণ করা। আমি আবারও দাবি জানাই এই সেতুর নাম হবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বিনয় দিয়ে হয়তো বারবার বলবেন, ‘না’ আমরা এই প্রজন্মের যারা মানুষ তারা অকৃতজ্ঞ নই, আমরা জানি যখন বিশ্ব ব্যাংক ফান্ড প্রত্যাহার করে নিল, পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন অন্তরায় সৃষ্টি হল, বঙ্গবন্ধু কন্যা সাহস করে বললেন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানাবো এবং তিনি এটা সম্ভব করেছেন মাত্র ১২ বছরে। পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আজ বাস্তবতা। টানা ২০০ বছর ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ৬ কোটি মানুষ পাবে।