শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলার পর শুরুতে দশম শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, অন্য শ্রেণি সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস হবে। তারা পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যাবে। পরের সপ্তাহে আবার এক দিন আসবে।
আজ রোববার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটি কর্তৃক সুপারিশকৃত ইন্টারমিডিয়েট এন্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এমিডমেন্ট বিল নিয়ে আলোচনার সময় এ কথা বলেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যায় অনেক। গাদাগাদি করে শ্রেণিকক্ষে তাদের বসতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানো সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনার সুযোগ থাকবে না।
শিক্ষামন্ত্রী ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে বলেন, যদি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খোলা হয় তাহলে এসএসসিদের তিনমাস এবং এইচএসসিদের চারমাস ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে সিলেবাসও প্রণয়ন করেছে এনসিটিবি। শিগগিরই সেগুলো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পাঠাবো আমরা। এ বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তারা এক বছর সরাসরি ক্লাস করতে পারেনি। অনেকে অনলাইন ও টিভিতে ক্লাস করেছে। একেবারেই ক্লাস করেনি কিছু শিক্ষার্থী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া তারা নিয়মিত করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছেন।
এদিন সংসদে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত বিল পাসের বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। উত্থাপিত বিলের উপর সংসদ সদস্যদের মতামত চান স্পিকার শিরিন শারমিন। সেখানে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে অধিকাংশ সদস্য বিলটি পাসের পক্ষে মত দেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিলটি পাসের পর প্রজ্ঞাপন করতে দুই দিন সময় লাগবে। এরপরই আমরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করব।
আগের আইন অনুযায়ী পরীক্ষা নেয়ার পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সংশোধিত বিলে পরীক্ষা ছাড়াই বিশেষ পরিস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশের বিধান রাখা হয়েছে।