করোনা মহামারির তাণ্ডবে বিশ্বের প্রতিটি স্থান স্থগিতের পরিক্রম হয়েছে। শিক্ষাঙ্গন ও তার ব্যতিক্রম নয়। কয়েকবার উদ্ব্যোগ নিয়েও আর ২০২০ সালের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। যার ফলে বিশেষ পদ্ধতিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে ফলাফল প্রকাশ করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরীক্ষা নেয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, এইচএসসির ফল নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এসএসসি ও জেএসসির রেজাল্ট নিয়েই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী সেদিন ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের কথা জানালেও আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি।
এ জটিলতা নিরসনে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে ২৪ জানুয়ারি আইন পাস করে জাতীয় সংসদ। করোনাকালে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে উত্থাপিত আইনগুলো পাস করা হয়।
সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি রাতে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে পাস হওয়া তিনটি সংশোধিত আইনের গেজেট জারি করা হয়। এর আগে সেদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তিনটি বিলে সম্মতি দেন। বিল তিনটিতে রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর সেগুলো আইনে পরিণত হয়।
সব শঙ্কা ও জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে মহামারি আতঙ্কে পার করা বছরের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হলো আজ।
এবার করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে ফল প্রকাশিত হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ফল পাঠানো হবে না। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জমায়েত না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে ফলাফল পৌঁছে যাবে।
এছাড়া, টেলিটক ওয়েবসাইট http://www.educationboardresults.gov.bd/এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফলাফল জানা যাবে।