গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিএনপিই কৃত্রিম বাধা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে নির্বাচন-বিমুখ রাজনীতি, অপরদিকে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখায় দেশের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খাচ্ছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকার কারো নেই। সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ইচ্ছেমত রচনা করছে– বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী অপশক্তি যেভাবে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে, তার বিপরীতে নতুন প্রজন্ম এখন সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, কারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে সপরিবারে হত্যার বেনিফিশিয়ারি, কারা এদেশে খুনিদের বিচার চাওয়ার অধিকার হরণ করেছিল– তা নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে বলে বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। বিএনপিই এদেশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির জনক।
বিএনপি মুখোশের আড়ালে স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের পৃষ্ঠপোষক বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার চতুর্থ ধাপে সারাদেশে অনুষ্ঠেয় ৫৫টি পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং গণতান্ত্রিক মূলবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগের তিন ধাপের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আগামীকালের (রোববার) নির্বাচনও সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। সরকার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে কোনোরূপ হস্তেক্ষেপ করবে না।
একটি অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে বরাবরের মত আগামীকালও সক্রিয় থাকবে– এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে সেতুমন্ত্রী জানান, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সরকার তাদেরকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমের একটি বক্তব্য পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে, যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তার (মাহমুদা বেগম) বক্তব্যের অডিও এবং ভিডিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কোনো অরাজনৈতিক বক্তব্য যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।