মিয়ানমারে খুব ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানে দেশটির জনগণের প্রতিবাদের মিছিল প্রায় দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরই মাঝে আন্দোলনকারীদের উপর মায়ান সেনারা কঠোর হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জাতিসংঘ হুশিয়ারি দিয়ে তাদের কড়া বার্তা দিয়েছে প্রতিবাদকারীদের প্রতি কঠোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালে ‘গুরুতর পরিণতি’ হবে।
সংস্থাটির বিশেষ দূত মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে ফোন করে এ সতর্কতা জানান বলে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের
রোববার রাতে মিয়ানমারের প্রধান শহরগুলোতে সাঁজোয়া যান ও সেনা মোতায়েন করা সত্ত্বেও গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। তারা কারাবন্দি নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদকারীরা সোমবার ফের বিক্ষোভ দেখান।
তবে আগের দিনগুলোতে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে এলেও এদিন তাদের সংখ্যা কম ছিল।
মঙ্গলবার ভোর থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছিল ৩৪৬টি আসন।
এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। তারা নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। যদিও ইউএসডিপি ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে।
পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন ভোরে অং সান সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ এনএলডির শীর্ষ বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তারের পর এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী।