মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা হতে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচল ও সব ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তাতে বলা হয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলকে পলাশী ক্রসিং, এসএম হল এবং জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। কোনোক্রমেই অন্য কোনো রাস্তা ব্যবহার করে শহীদ মিনারে প্রবেশ করা যাবে না।
অপরদিকে, শহী মিনার থেকে বের হবার ক্ষেত্রে দোয়েল চত্বরের দিকের রাস্তা অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তা ব্যবহার করতে হবে।
এ সময় বকশিবাজার হতে জগন্নাথ হল ক্রসিং সড়ক, চাঁনখারপুল হতে রোমানা চত্বর ক্রসিং সড়ক, টিএসসি হতে শিববাড়ী মোড় ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন হতে ভাস্কর্য ক্রসিং (ফুলার রোড) বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা হতে ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তা আলপনা অঙ্কনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশের রাস্তা বন্ধ থাকবে।
এ সময় শিববাড়ী, জগন্নাথ হল ও রোমানা চত্বর ক্রসিংগুলোতে গাড়ি ডাইভারশন দেয়া হবে।
২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা হতে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যত্রতত্র অনুপ্রবেশ বন্ধের লক্ষ্যে নীলক্ষেত, পলাশী মোড়, ফুলার রোড, বকশীবাজার, চাঁনখারপুল, শহিদুল্লাহ হল, দোয়েল চত্বর, জিমনেশিয়াম, রোমানা চত্বর, হাইকোর্ট, টিএসসি, শাহবাগ ইন্টারসেকশনসমূহে সড়ক ব্লক দিয়ে গাড়ি ডাইভারশন দেয়া হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় সাইন্সল্যাব হতে নিউমার্কেট ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং এবং ফুলবাড়িয়া ক্রসিং হতে চাঁনখারপুল ক্রসিং পর্যন্ত প্রভাত ফেরি উপলক্ষে সকল প্রকার যাত্রীবাহী গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশনা : একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম মাঠে ভিআইপি গাড়িসমূহের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। সাধারণ নাগরিকবৃন্দ নীলক্ষেত-পলাশী, পলাশী-ঢাকেশ্বরী সড়কসমূহে তাদের গাড়ি পার্কিং করতে পারবেন।
সাধারণ নিদের্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে, বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কবরস্থান এবং শহীদ মিনারে যারা শ্রদ্ধার্ঘ্য ও পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন তাদের মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। কবরস্থান এবং শহীদ মিনারে যারা শ্রদ্ধার্ঘ্য ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যাবেন- তাদের রাস্তায় বসা বা দাঁড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য বর্ণিত রাস্তায় কোনো প্রকার প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না। শহীদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করে সকলকে প্রবেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে সকলকে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে হবে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ হতে প্রচারকৃত নিদের্শনা মেনে চলতে হবে। কোনো ধরনের ব্যাগ সাথে বহন করা যাবে না। যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন হলে শহীদ মিনার এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।