দেশের ৫০ বছর উদযাপনে আগামী মার্চের ৩০ তারিখে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এছাড়াও মার্চ মাসের ১৯ দিন দলটি ভিবিন্ন কর্মসূচী রেখেছে।
বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। বছরজুড়েই নানা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবে বিএনপি। প্রতি মাস শেষ হওয়ার আগে পরের মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার মার্চ মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হল।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ১ মার্চ সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। অনুষ্ঠানের স্থান ও সময় পরে গণমাধ্যমে জানানো হবে।
২ মার্চ ছাত্র সমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন শীর্ষক আলোচনা সভা, ৩ মার্চ ছাত্র সমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ শীর্ষক আলোচনা সভা, ৭ মার্চ আলোচনা সভা, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন, ৯ মার্চ সেমিনার, ১০ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা, ১৩ মার্চ বছরব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন, ১৫ মার্চ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২০ মার্চ আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার, ২২ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, জেড ফোর্স এবং বীর উত্তম জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনার, ২৩ মার্চ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেলা, ২৪ মার্চ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বৈরাচারী এরশাদের জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল শীর্ষক সেমিনার, ২৫ মার্চ কালো রাত্রি শীর্ষক আলোচনা সভা, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ, জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ, রক্তদান কর্মসূচি, সারাদেশে শোভাযাত্রা, ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ও বগুড়ায় বাগবাড়ি গমন এবং দুই জায়গায় আলোচনা সভা, ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সুবর্ণ জয়ন্তী মহাসমাবেশ ও ৩১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর উদ্বোধন।
এদিকে সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচির বিষয়ে কথা বলতে আজ বিকেলে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলেরর নেতৃত্ব দেবেন সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম।
এ বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমাদের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা চাইব। সরকারের কাছেও সহযোগিতা চাই, যাতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এই যে আবেগ-উচ্ছ্বাস, তা আমরা নির্বিঘ্নে সুন্দরভাবে পালন করতে পারি।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন খন্দকার মোশাররফ।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, তথ্য গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।