আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়াও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের করোনা টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন হতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে। যে কারণে ছুটি বাড়িয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ (আইজিপি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ।
এর আগে আরও তিনমাস পর আগামী ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। এর আগে ১৭ মে থেকে খুলবে আবাসিক হল। তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে। দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরও ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় চার লাখ ছয় হাজার ৪৬৯ জন শিক্ষক রয়েছে। আর কর্মচারীর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার ৮৬১ জন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রায় ১৫ হাজার ৫২৪ জন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকে শিক্ষক আছেন ছয় লাখ ৮৫ হাজার ৪০০ জন। এরমধ্যে প্রাথমিকসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ইতোমধ্যে টিকা নেয়া শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে ঘোষণা করা হয়েছিলো।