করোনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা ঠিকমতো করতে না পারায় পরিবারের পক্ষ থেকে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও বাড়ানোর আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর এ আবেদন করা হয়। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত বছরের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের জন্য পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
মুক্তির পর থেকেই গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় আছেন খালেদা জিয়া। সেখানেই চলছে তার চিকিৎসা। তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে এমনটি জানিয়ে তার পরিবার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবারও আবেদন করেছে।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে ১১ মাস তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পর্কিত দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন।