দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন বিজ্ঞান জানতে পারে। এজন্য প্রত্যেক বিভাগে নভোথিয়েটার স্থাপিত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গবেষণা ও বিজ্ঞানের প্রসার দেশের উন্নতির জন্য অপরিহার্য বলেও জানান তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মহামারি করোনাও বাংলাদেশে অগ্রযাত্রা থামাতে পারেনি। বিশ্বে এখন আমরা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। আমাদের অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে দিতে পারবে না। করোনা ভাইরাস যখন পারেনি, কেউ আর পারবে না। এটাই আমার বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক এবং বিজ্ঞানীদের বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে গবেষণা চালিয়ে যেতে শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থী বিজ্ঞান জানতে পারে। আমরা গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছি। এর মাধ্যমে ব্যয় কমানো, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ও বাজারজাতকরণ সহজ হয়। নতুন নতুন পণ্য সৃষ্টি বা উদ্ভাবন করা যায়।’
শিক্ষানীতি করে শিক্ষাকে বহুমুখী করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষানীতি করে শিক্ষাকে বহুমুখী করেছি। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছি। আমাদের সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়নি। শুধু করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে গত বছর এ সমস্যা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুস্থতার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। অবশ্য মার্চের শেষে খুলে দেওয়া হবে।’
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে এই সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।