প্রতিটি বছর “আন্তর্জাতিক নারী দিবস” ফিরে আসে। এদিনে প্রতারিত কিংবা অনেক সফলতার গল্প প্রকাশ পায়। এছাড়াও বিশ্বে অনেক দেশের সামাজীকতা লক্ষ করলে দেখা যায় নারী নেতৃত্বে সমাজ সংস্কারের নানা কাজ হয়ে থাকে। কিন্তু নারী জাগরণের বিশ্বে আজও তারা প্রতারিত, বিকৃতমনা মানুষ রুপি হায়নার দলের লালশার শিকার হয়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জারাই লালসার শীকার হচ্ছে তারা হয়ত আইনি জটিলতা কিংবা সম্মান হরানোর ভয়ে মুখ ফুটিয়ে কিছু বলতে পারছে না। তাদের হৃদয়ে জ্বালা চাপা পড়ে অনেক প্রাণ আত্ম হননের পথ বেছে নেয়। এতে করে লালসার সমাজের কারণে প্রতিণিয়ত মেধাবীদের হারাতে হচ্ছে আমাদের।
লালসার সন্ধানকারীদের ভাবনা নারীর স্তনে তাদের শরীরের গরম নিকৃষ্ট তরল পদার্থ মাখিয়ে সুখ পাচ্ছে। তারাদের এটি বুঝা উচিত যে সেও এমনই এক নারীর বুকের দুগ্ধ পাণ করেই আজকে পুরুষ রুপ ধারণ করেছে। কোন এক নারী তার অসহায়ত্ব শিশু কালে তাকে স্তনভরা বুকেই ঠাই দিয়েছে। আর সেই পুত্র শিশুই পুরুষরুপী হয়ে কোনো না কোনো মা এর কন্যা সন্তানের বক্ষ দেখে নিজেদের শরীরের সুখ মেটায়, ভুলে যায় তার অতীতের কথা৷ তারাই আবার নারীকে নারী দিবসের শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাসিয়ে দেয় সোশাল মিডিয়া। দিবসে শ্রদ্ধা না জানিয়ে যেদিন পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া নারীর বুকের দিকে পুরুষজাতি লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকাবে না, সেইটাই হবে অনেক বড় অর্জন।
নারীরা কি শুধু পুরুষের যৌন দাসী? শিক্ষিত সমাজে এ কথার কোন ভিত্তি নেই। তারা মনে করে নারীরা আমাদের ভোগের নয় হৃদয়ে আহ্বানের হতে পারে। তবে কেন তুমি শিক্ষিত কুকুর হয়ে অন্যায় ভাবে নারীর ঐ জনিতে খেলা করার চিন্তা করছো? যে নারাী সমাজ সাজানোর হাতিয়ার হোত তোমার বিকৃত আত্বার দায়ে সে আজ বেস্যার ফেরিওয়ালা হয়ে ঘাটে ঘাটে ফিরছে।
প্রকৃতি কখনই অন্যায়কে মেনে নেয়না। তা তোমার কর্মফল তোমাকে ফেরত দিবেই। নতুন নামে, নতুন ঠিকানার ভিড়ে আর নয়ত নতুন ডাক পিয়নের কিড়িং কিড়িং বেলে শব্দে। এক ভোরে ডাক পিয়নের বেল বাজবে তোমার বোনের মুখে। সেদিন তোমার কিছুই করার থাকবে না। জ্বলবে আর পুড়ে জিন্দা লাশ হয়ে পড়ে রবে।
নারীরা না থাকলে পৃথিবীর মানব সভ্যতা ৫০ হাজার বছর পার করতে পারত না। গুহাবাসী আদিম শিশু গুহাতেই মারা যেত, পাথরে পাথর ঠোকার প্রস্তর যুগই শুরু হতো না। আরও সোজা বাংলায় বলি, আপনার-আমার জন্ম হতো না। অতএব, নারী জাতিকে সম্মানের চোখে দেখুন।
লেখক: তাওসিফ মাইমুন, গণমাধ্যম কর্মী।