ওরা আমাকে পাগল বলে,
আমার নাকি ভালো মন্দ
জ্ঞান নেই।
ওরাই আবার পৃথিবীর
সব মন্দ কাজ করে।
মূর্খের মতন ওরাই আবার
আসল ছেড়ে নকলের
পিছে ছোটে।
আমি রাস্তায় থাকি,
উচ্ছিষ্ট খাবার খাই,
রাস্তাতেই ঘুমোই!
আমি তবু কখনো,
ওদের সম্পদ লুঠ করি না।
ঝাঁপিয়ে পড়ি না কোনো
অবলা নারীর উপর,
তবুও ওরা আমাকেই
পাগল ডাকে।
আমার রুক্ষ চুল,অগোছালো দাঁড়ি,ছেড়াঁ জামা।
সবই ওদের দেয় ভারি মজা
হৃদয়ে জাগে নাকও একটু মায়া।
কোথাও আমি খাবার পাইনা
পাই শুধু ওদের মার আর গালি,
সারাদিন পেট থাকে খালি।
শহরতলীর ডাস্টবিনটাই
তাই আমার বন্ধু।
বিনা প্রতিদানে খাবার,
জামা কত কিছু না দেয়!
দেয় না কেবল খোঁচা।
ওরা চলে রাজার হালে,
ঘোরে দামি গাড়ি নিয়ে
পরের সম্পদ নিজের করে
কূটবুদ্ধিতে ভরা ঐ মগজটাতে
কতোই না ফন্দি আঁটে।
ভুল করে যদি কভু
মাড়িয়ে দেই-
ওদের দামি জুতো,
অসুরের ন্যায় সবাই-
মিলে দেয় লাথি গুঁতো।
রক্তাক্ত আমি রাস্তায় থাকি পড়ে
তাই দেখে ওদের করুণা নাকও জাগে।
স্রষ্টারে ডেকে বলি
এ কেমন মানুষ করলে
তুমি সৃষ্টি!!
চারিদিকে শুধু অনাচার,অবিচার
ঝড়ে রক্ত বৃষ্টি!
মানুষ নাকি মানবিক জীব
এই কি তবে মানবিকতা!
এই কি তবে সভ্যতা।
এমন যদি হয় গো সুস্থ মানুষ,
আমি পাগলই ভালো আছি!