বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রথম ‘ওআইসি’তে যায় বাংলাদেশ: রাসেল

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথম ওআইসি-তে যোগ দান করে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল-২০২০ উপলক্ষে ইন্টারপ্রেনারশিপ, স্কিল এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন কালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আজাহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়্যুথ ফোরাম(আইসিওয়াইএফ) এর প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম খান এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতীক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মার্চ মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে আমরা এই ঐতিহাসিক মাসে এই দারুণ ইভেন্টের উদ্বোধন করতে পারছি।

আইসিওয়াইএদ এর প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান বলেন, ক্যাম্পটি তরুণদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পেশাদার দিকনির্দেশনা, বৈশ্বিক সংযোগ, সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা এবং কার্য দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করবে

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে জাতি যত উন্নত, আজকের বিশ্বে সে জাতি তত বেশি সমৃদ্ধ। আমাদের দেশের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করতে আমাদের বিপুল সংখ্যক তরুণকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে হবে।

যুব ও ক্রীড়া সচিব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকীর আনন্দময় সময়ে এই মেগা ইভেন্ট এর আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত ও আনন্দিত।

অনুষ্ঠানের সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা যুবকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, চিন্তা ও উদ্ভাবন প্রক্রিয়ায় শামিল করে একটি স্থিতিশীল ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মণ করতে চাই।

ইন্টারপ্রেনারশিপ, স্কিলস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ক্যাম্প টির লক্ষ্য হলো বাংলাদেশ ও অন্যান্য ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এর আইটি স্টার্টআপস, চাকরির বাজারের জন্য সম্ভাবনাময় যুবক, বিনিয়োগকারী, পরামর্শদাতা, প্রতিষ্ঠাতা, সরকারি কতৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ইকোসিস্টেম ইনফ্লুয়েন্সার ও ওআইসির গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর আওতাধীন বিভাগ ভিত্তিক অংশীদারদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।

প্রতিযোগিতাটি দুইটি স্তরে অনুষ্ঠিত হবে: আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক। ওআইসি সদস্য দেশগুলো এবং এর বাইরেও মুসলিম কমিউনিটির যুবকরা এ ক্যাম্পে অংশ নিতে পারবে।